২০২৫ সালে SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা কনটেন্ট লেখার নতুন নিয়ম?

আপনি কি SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? আপনার কি এই সমস্যাটি হচ্ছে যে ভুল নিয়মে আর্টিকেল লিখলে পরে তা গুগলে ভালো র‍্যাঙ্ক আসে না। ফলে আপনার ভিজিটর কমে যাচ্ছে।
২০২৫ সালে SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা কনটেন্ট লেখার নতুন নিয়ম?

আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন? কীভাবে সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখলে পাঠক খুশি হবে। পাশাপাশি কীভাবে গুগলে এসইও এর মাধ‍্যমে গুগলে আর্টিকেল র‍্যাঙ্ক করা যায়।

SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম?

আপনি কি জানেন SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম, ঠিকভাবে না জানলে এবং ঠিক ভাবে কাজ না করলে গুগলে র‍্যাঙ্ক পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমাদের মাঝে অনেকেই অনেক সুন্দর করে বাংলা কনটেন্ট লিখে থাকি? কিন্তু আমরা অনেকে ঠিকমতো SEO অনুসরণ না করায় সেই লেখাগুলো হারিয়ে যায়। অর্থাৎ গুগলে র‍্যাঙ্ক করে না। তাই আমরা আজকে শিখবো কীভাবে SEO ঠিকভাবে ফলো করে একটা বাংলা আর্টিকেল লিখতে হবে। নিচে কিছু ধাপ দেওয়া হলো যেগুলো SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখায় রাখতে হবেঃ
  • সঠিক টপিক রিসার্চ
  • সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ
  • সঠিক তথ‍্য রিসার্চ করা
  • ভূমিকা দেওয়া
  • একটি সূচিপত্র তৈরি করা
  • ইমেজ তৈরি করা
  • আর্টিকেলের দৈর্ঘ‍্য
  • পাঠকের সাথে আচরণ
  • কপিরাইট মুক্ত কনটেন্ট লেখা
  • হেডিং ট‍্যাগ ও আর্টিকেলের প‍্যারা
  • পার্মালিঙ্ক দেওয়া
  • লেখকের মতামত দেওয়া
আমাদের প্রথমেই একটি ভালো টপিক সিলেক্ট করে নিতে হবে? অর্থাৎ যেগুলো গুগলে মানুষ সার্চ করে এমন সচরাচর কিছু টপিক। ধরুন যদি আমরা ভালো টপিক বেছে না নেই, তাহলে এমন হবে যে আমরা এমন টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখবো যেগুলো কেউ সার্চই করে না বা মানুষের প্রয়োজন নেই। তাই আমাদের উচিৎ ভালো টপিক সিলেক্ট করা। আমরা কীভাবে ভালো টপিক সিলেক্ট করবো এবং কীভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করব এসকল কিছু আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিত জানব।

এরপর আমাদের মাথায় রাখতে হবে কীভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে? আমাদের আর্টিকেলের বডি এমন ভাবে লেখা উচিৎ যেখানে কিওয়ার্ড এর বিশ্লেষণ সঠিকভাবে থাকবে এবং পাঠকের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরণ করতে হবে। আমাদের আর্টিকেলের বডি কেমন হবে এবং বডি কীভাবে সাজাতে হবে এবং বডিতে কি কি রাখতে হবে এ সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিত আরও অনেক কিছু বিস্তারিত জানব।

এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পার্মালিংক সেট? একটি পোস্টের পার্মালিংক না থাকলে তা কখনোই গুগলে র‍্যাঙ্ক হবে না। পোস্টের সেটিংস এ গিয়ে আপনার টপিক অনুযায়ী একটি পার্মালিংক দিতে হবে। এটি ১-২ শব্দে দিলে ভালো হয়। তবে আপনি যদি আপনার কিওয়ার্ড অনুযায়ী পার্মালিংক দেন তাহলে কিছুটা বড় হতে পারে।

ধরুন আপনার আর্টিকেলের বিষয় SEO আর্টিকেল রাইটিং তাহলে আপনার পার্মা লিংক হবে (SEO-article-writting)। মাঝখানে হাইফেন দিয়ে দিতে হবে। এমনকি ইমেজের যেই alt ট‍্যাগ থাকবে সেখানেও হাইফেন দিয়া এভাবে কিওয়ার্ড দিতে হবে। কীভাবে ইমেজ সেট করতে হয় এবং এর alt ট‍্যাগ নিয়ে বিস্তারিত এই পোস্টে আরও জানব।

এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনাকে কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল লেখতে হবে? অনেকে আছে AI ব‍্যবহার করে আর্টিকেল লেখে। আবার অনেকে আছে অন‍্যের আর্টিকেল নকল করে। এইসব কাজ করলে আপনার আর্টিকেল কখনোই গুগলে র‍্যাঙ্ক হবে না। গুগল জানে যে কোনটা কপি করা আর্টিকেল। আপনার আর্টিকেলে কোনো প্রকার কপিরাইট থাকা যাবে না। এমনকি অন‍্যের ব‍্যবহার করা ছবিও ব‍্যবহার করতে পারবেন না। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

এছাড়াও আমাদের আর্টিকেলের কিছু খুঁটিনাটি দিক খেয়াল রাখতে হবে? এই কাজগুলো না করলে আমাদের আর্টিকেল র‍্যাঙ্ক হবে না। যেমনঃ ভালো ছবি সিলেক্ট ও ছবির সেটিংস, পার্মালিঙ্ক, হেডিং ট‍্যাগ, লেখক হিসেবে কি কি করা উচিৎ এমন আরও অনেক বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আমাদের এই পোস্টে আমরা এসকল বিস্তারিত সবকিছু ধাপে ধাপে জানব। তাই আমাদের সাথেই থাকুন।

আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ কোনটি?

আপনি যদি SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে চান, তাহলে শুরুতেই আপনার দরকার একটা পরিষ্কার পরিকল্পনা। এটি হচ্ছে আপনার আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকে তাহলে আপনার সময় নষ্ট হবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। তাই আর্টিকেল লিখতেও একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন। আমাদের মাঝে অনেকেই ভাবেন লেখা তো লেখলেই হয়, কিন্তু আসলে আর্টিকেল লেখারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।

আপনাকে প্রথমেই একটি আউটলাইন বা রূপরেখা তৈরি করতে হবে? যে আপনার পোস্টটি আপনি কোন বিষয়ে লিখবেন। অর্থাৎ এমন ভাবে একটি পরিকল্পনা সাজান যেখানে থাকবে আপনি কখন কোন বিষয় নিয়ে লিখবেন। যেমন ধরুন যে প্রথমে ভূমিকা তারপর সূচিপত্র এরপর কতগুলো প‍্যারা থাকবে যেখানে পোস্টের বিস্তারিত আলোচনা করে রাখবেন এরপর শেষে একটি উপসংহার অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলের রূপরেখা কেমন হবে। অর্থাৎ আপনি আর্টিকেলে পাঠকের সামনে কোন বিষয়টার পর কোন বিষয়টা তুলে ধরবেন এমন একটা ছোট্ট পরিকল্পনা। এর উপর ভিত্তি করে আপনার আর্টিকেল লেখা শুরু করবেন।

আপনি যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন অর্থাৎ শুরুতেই আপনার আর্টিকেলের একটি আউটলাইন তৈরি করেন, তাহলে আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার কাছে লেখা সহজ মনে হবে। তখন আর আপনাকে নতুন করে চিন্তা করার দরকার নেই যে কোনটির পর আপনাকে কোন কাজ করতে হবে। আপনি শুধু আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাবেন।

টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করার উপায়?

টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করার উপায়?

একটি আর্টিকেল লেখার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আর্টিকেলের টপিক সিলেক্ট করা এবং সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। আপনার উচিৎ আপনার আর্টিকেলের জন‍্য একটি ভালো টপিক খুঁজে বের করা এবং পাশাপাশি ঐ আর্টিকেলের কিছু কিওয়ার্ড রিসার্চ করে বের করা। একটি আর্টিকেলের মাঝে কিওয়ার্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। তাহলে চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

প্রথমেই জেনে নেই আর্টিকেলের টপিক আসলে কি? আর্টিকেলের টপিক হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখবেন। আপনার আর্টিকেল হতে পারে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি বা বিভিন্ন তথ‍্য এমন আরও অনেক কিছু সম্পর্কে। এখন আপনি কি নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন ঐটাই আপনার আর্টিকেলের টপিক। আপনার উচিৎ এমন একটা টপিক সিলেক্ট করা যা মানুষ গুগলে বেশি সার্চ করে থাকে।

আবার এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে মানুষ আগে থেকেই অনেক পোস্ট লিখে রেখেছেন। তখন আপনার পোস্ট র‍্যাঙ্ক করানোর প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। আপনি আপনার আর্টিকেলের টপিক ও কিওয়ার্ড ahrefs- ও google trend থেকে রিসার্চ করতে পারেন। এছাড়াও আরও টুলস রয়েছে যেখান থেকে আপনি কিওয়ার্ড ও টপিক রিসার্চ করতে পারবেন।

এরপর আসি আর্টিকেলের কিওয়ার্ড আসলে কি? কিওয়ার্ড হচ্ছে এমন একটা বাক‍্য যা লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে। অর্থাৎ কোন জিনিসটা মানুষ সার্চ করলে ঐ বিষয়ের আর্টিকেল খুঁজে পাবে তার সবটাই নির্ভর করে আর্টিকেলে থাকা কিওয়ার্ডের উপরে। আপনাকে আর্টিকেলের মাঝে কিওয়ার্ড রাখতে হবে।

আপনার কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে একটি টাইটেল দিতে হবে? এখন একজন পাঠক যদি একটি টাইটেল দেখে ভিতরে ঢুকার পরে অন‍্য বিষয় পাই তাহলে পরবর্তী সময়ে সে আর আপনার পোস্ট পড়তে আসবে না। তাই আপনার উচিৎ কিওয়ার্ডের সাথে মিলিয়ে একটি টাইটেল দেওয়া।

কিওয়ার্ড অনেকরকম হতে পারে যেমন মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড, লং টেইল ফোকাস কিওয়ার্ড, রিলেটেড ফোকাস কিওয়ার্ড, মডিফাই ফোকাস কিওয়ার্ড। এখন এগুলো আসলে কি? এইসব কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেলকে সাজাতে এবং একটি পরিচয় দিতে সাহায্য করে। আপনার পোস্ট যেই বিষয়ের উপর লেখা আপনি যদি আপনার পোস্টে সেই কিওয়ার্ড দিয়ে থাকেন তাহলে গুগল বুঝতে পারবে আপনার আর্টিকেল কোন বিষয়ের উপর। এতে করে কেউ যদি আপনার এই টপিকের বিষয়ে সার্চ করে তাহলে আপনার পোস্টটি তার সামনে যাবে। এছাড়াও আপনার টাইটেল ৫-৯ শব্দে রাখলে ভালো হয়।
  • মেইন ফোকাস কিওয়ার্ডঃ মূলত মানুষ একটি নির্দিষ্ট টপিকের উপর কি লিখে সার্চ করে। আপনার পোস্টের মোট শব্দের ১% বা ১০ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড রাখবেন। পোস্টের শুরুতেই এই কিওয়ার্ড রাখবেন। এবং এই কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্টের শুরুতেই আলোচনা করবেন। প্রতিটি কিওয়ার্ড ৩-৫ শব্দে হতে পারে।
  • মডিফাই ফোকাস কিওয়ার্ডঃ মেইন ফোকাস কিওয়ার্ডটাকে একটু সাজিয়ে মডিফাই করে পোস্টে রাখা। সম্পূর্ণ পোস্টে ৪-৫ টি ১-২ বার করে ব‍্যবহার করবেন।
  • রিলেটেড ফোকাস কিওয়ার্ডঃ এই টপিকের উপর আর কি কি লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে। সম্পূর্ণ পোস্টে ৩-৪ টি ১-২ বার করে রাখলেই হবে।
  • লং টেইল ফোকাস কিওয়ার্ডঃ এটি একটি লম্বা কিওয়ার্ড। অর্থাৎ কেউ যদি গুগলে ৪-৫ শব্দের বেশি বাক‍্যের কোনো কিছু সার্চ করে তাহলে এটি লং টেইল কিওয়ার্ড। নিচে এর ছবি দেওয়া হয়েছে। এখানে দেখুন কিছু শব্দ লিখতেই নিচে আরও কতগুলো কিওয়ার্ড এসে পড়েছে। এগুলো পাঠকরা সার্চ করে তাই আপনার টপিকের উপর নির্ভর করে আপনি এভাবে আপনার মন মতো করে প্রতিটি কিওয়ার্ড নিয়ে ২-৩ বার করে রাখবেন।
আপনার উচিৎ এই নিয়ম মেনে টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করা? এবং সারা পোস্টে এভাবেই এর ব‍্যবহার করা। এতে করে আপনার আর্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্ক করবে এবং আপনার আর্টিকেলের ভিউ বাড়বে। এটি আর্টিকেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। এছাড়াও আপনার পাঠককে আপনার আর্টিকেল দ্বারা আকর্ষণ করতে হবে যাতে তারা আপনার পোস্ট পছন্দ করায় প্রতিনিয়ত তাদের প্রয়োজনে আপনার পোস্ট দেখে। এ সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।

ভূমিকা ও সূচিপত্র তৈরির উপায়?

আপনি যদি SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম মানতে চান তাহলে আপনাকে আর্টিকেলের শুরুতেই একটি সুন্দর ভূমিকা দিতে হবে। এবং ভূমিকার পর একটি সূচিপত্র তৈরি করে দিতে হবে। মূলত এই ভূমিকা ও সূচিপত্র পাঠককে পোস্টের প্রতি আকর্ষণ করার জন‍্য দেওয়া হয়। আমরা এখন জানব ভূমিকা ও সূচিপত্র তৈরির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু। তাহলে চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেই।

আপনাকে পোস্টের শুরুতেই একটি ভূমিকা দিতে হবে? আপনি এমনভাবে ভূমিকা তৈরি করবেন যা থেকে পাঠক বুঝে যায় আপনার পোস্টের ভিতরে কি আছে। আপনি, আপনার, আমাদের, আমরা এসব শব্দ ব‍্যবহার করতে হবে। মূলত পাঠকের সাথে ফ্রেন্ডলি ভাবে কথা বলতে হয়। আপনাকে ভূমিকাতে সবচেয়ে সহজ সহজ ভাষার ব‍্যবহার করতে হবে।

আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম?

আপনি যদি SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুসরণ করেন, তাহলে আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আপনার আর্টিকেলের বডিই মূলত একজন পাঠক পড়ে থাকে। পাঠককে আকর্ষণ করাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ। এছাড়াও সকল কিওয়ার্ড পোস্টের বডিতেই বেশি রাখা হয়ে থাকে। আপনার ভূমিকা ও সূচিপত্র বানানোর পরেই আপনাকে আর্টিকেলের বডি লেখতে হবে। আপনার আর্টিকেলের বডি লেখার সময় মাথায় রাখতে হবেঃ
আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম?

  • আর্টিকেলের দৈর্ঘ‍্য
  • কিওয়ার্ড ডেনসিটি
  • হেডিং ট‍্যাগ ও প‍্যারা
  • ফ্রেন্ডলি আচরণ
  • পোস্ট সম্পর্কিত ছবি
  • সঠিক তথ‍্য রিসার্চ
  • লেখকের মতামত
আপনি যখন একটি আর্টিকেলের বডি লেখবেন তখন আপনার উচিৎ আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে ভাবা। অর্থাৎ আপনার আর্টিকেল কতটুকু বড় হবে। আপনার আর্টিকেলের সঠিক তথ‍্য দিতে কতটুকু বড় করতে হবে তা বিবেচনাই রাখতে হবে। এরপর আপনার উচিৎ প্রতি প‍্যারায় কিওয়ার্ড রাখা। সারা পোস্টে কিওয়ার্ড ছড়িয়ে দেওয়াই কিওয়ার্ড ডেনসিটি। অর্থাৎ কতটুকু পরপর কিওয়ার্ড থাকবে। আপনার পোস্টের ১% বা ১০ বার মূল ফোকাস কিওয়ার্ড রাখা উচিৎ।

এরপরে পোস্ট সম্পর্কিত ছবি দিতে হবে? আপনার উচিৎ কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব‍্যবহার করা এছাড়াও Bing থেকে এআই ইমেজ বানিয়ে ব‍্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হয়। এছাড়াও কোনো তথ‍্য সম্পর্কে লেখলে আপনার উচিৎ তার স্ক্রিনসর্ট দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া। এছাড়াও আপনাকে ইমেজে alt ট‍্যাগ ব‍্যবহার করতে হবে। আপনি ইমেজ photopea থেকে এডিট করে নিতে পারবেন। ইমেজের ফাইল নেম এ আপনার আর্টিকেলের মূল ফোকাস কিওয়ার্ড রাখবেন। এরপর ছবি সেট করার সময় alt ট‍্যাগ দিয়ে original size এ ছবি রাখতে হবে।

এরপর আপনাকে আর্টিকেল হ‍েডিং, বোল্ট করে লেখা উচিৎ? প্রতিটি হেডিং এ কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করবেন। এরপর আপনার আর্টিকেল প‍্যারা করা লেখা উচিৎ। সর্বোচ্চ ৪-৫ লাইন যেন প্রতিটি প‍্যারায় হয়। এরপর পাঠকের সাথে আপনার ফ্রেন্ডলি আচরণ করা উচিৎ। এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানব। এছাড়াও আপনাকে সঠিক তথ‍্য রিসার্চ করে লিখতে হবে ভুল তথ‍্য দেওয়া যাবে না এতে পাঠকের বিশ্বাস হারাবেন। এবং সর্বশেষে আপনার আর্টিকেলের উপর নিজের একটি মতামত ও অভিজ্ঞতা লিখে দিবেন। এতে পাঠকদের বিশ্বাস আপনার উপর বাড়বে।

পাঠকের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরণ করার উপায়?

SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর মাঝে পাঠকের ফ্রেন্ডলি আচরণ করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন পাঠককে আকর্ষণ করা হচ্ছে আপনার আর্টিকেল লেখার দ্বিতীয় কাজ। প্রথম কাজ হচ্ছে গুগলে র‍্যাঙ্ক করানো। এরপর ধরুন আপনার আর্টিকেল র‍্যাঙ্ক করেছে মানুষ সার্চ দিয়ে আপনার পোস্টের ভিতরেও ঢুকেছে।

কিন্তু আপনার আর্টিকেলে কোনো আবেগ নেই তাহলে পাঠক পড়ে এতোটা ভালো মনে করবে না। তাই আমাদের উচিৎ ফ্রেন্ডলি ভাবে কথাবার্তা করা বা আলোচনা করা। আমাদের এই পোস্টে পাঠকের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরণ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

একজন পাঠককে আপনার আর্টিকেলের উপর আকর্ষণ করতে আপনাকে অবশ্যই ফ্রেন্ডলি আচরণ করে বুঝিয়ে বুঝিয়ে লিখতে হবে। আপনি যদি পাঠকের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরণ করেন তাহলে পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়ে আসল মজাটা বুঝতে পারবে। এতে করে আপনার লেখার উপর তার বিশ্বাস বাড়বে। ফলে ভবিষ্যতে তিনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করবে তখন তিনি আপনার পোস্টেই সবার আগে প্রবেশ করবে। পাঠকের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলোঃ
  • আপনি, আমার, আপনার ও আমাদের এমন শব্দ ব‍্যবহার করা। যাতে পাঠক বুঝতে পারে যে আপনি সরাসরি তার সাথেই কথা বলছেন।
  • পাঠকের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলা। এতে পাঠক আপনার লেখাকে ভালো মনে করবেন।
  • সাধারণ ও সবচেয়ে সহজ ভাষা ব‍্যবহার করা। যার মাধ‍্যমে পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে। কঠিন ভাষার ব‍্যবহার করলে পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়তে দ্বিধা বোধ করবেন।
  • পাঠককে প্রতি বিষয়ে সঠিক ধারণা দেওয়া এবং সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে আগ্রহ দেওয়া। এতে পাঠক সম্পূর্ণ তথ‍্য জানতে আপনার পোস্টেই থাকবে। অন‍্য কারো পোস্টে যাওয়ার দরকার হবে না।
  • পাঠককে নিজের মতামত ও অভিজ্ঞতা সেয়ার করুন। এতে পাঠক আপনার আর্টিকেলের উপর বিশ্বাস করতে পারবে।
এসকল কিছু কাজ করলে আপনি পাঠকের বিশ্বাস জয় করতে পারবেন এবং পাঠক আপনার লেখা পছন্দ করবে। আপনার উচিৎ পাঠকের সাথে ভালো ব‍্যবহার করা। এবং নিজের মনের ভাবটাকে সহজ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। আপনার সঠিক তথ‍্য এবং সম্পূর্ণ তথ‍্য দিয়ে প্রকাশ করতে হবে। যাতে পাঠকের অন‍্য কোথাও না যেতে হয়। আপনার পোস্ট থেকেই সব বুঝে যায়। এভাবেই আপনি পাঠকের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরণ করতে পারবেন।

ট‍্যাগ ব‍্যবহারের গুরুত্ব?

আপনি কি জানেন আপনার আর্টিকেলে ট‍্যাগ ব‍্যবহারের গুরুত্ব কি? আসলে এই ট‍্যাগের উপরে গুগল সহজেই বুঝতে পারে আপনার আর্টিকেলে কি কি বিষয় আছে। মানুষ যখন কোনো কিছু সার্চ করে তখন গুগলের মাথায় আসে যে পাঠক কি চাচ্ছে এবং তাকে কোন পোস্টটা দিতে হবে। আপনি যদি আপনার পোস্টে ট‍্যাগ ব‍্যবহার করেন এবং ট‍্যাগের মাঝে আপনার যেই বিষয়টা লেখা থাকবে, গুগল ধরে নিবে এই বিষয়গুলার উপরে আপনার আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। ফলে কেউ এই বিষয়ে সার্চ করলে গুগল তার সামনে আপনার পোস্ট নিয়ে যাবে।

আপনার পোস্টে অবশ্যই ট‍্যাগ ব‍্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সঠিক তথ‍্যের উপর ট‍্যাগ না দেন তাহলে এটাকে গুগল ধরতে পারবে না। আপনার উচিৎ আপনার আর্টিকেলের যেই কিওয়ার্ড গুলো আছে এগুলো ট‍্যাগ করে দেওয়া। এছাড়াও আপনার পোস্ট হেডিং ট‍্যাগ দিয়ে প‍্যারা প‍্যারা করে লেখা। আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইন বোল্ট করে দেওয়া। এছাড়াও আপনার আর্টিকেলে যেই ছবি ব‍্যবহার করা হয়েছে, সেই ছবিতে আপনার মূল ফোকাস কিওয়ার্ড alt ট‍্যাগ করে রাখা। এতে করে আপনার পোস্টটি সাজিয়ে রাখা যাবে।

এছাড়াও একজন পাঠকের দৃষ্টিতে সবসময় হেডিং বা বোল্ট করা ট‍্যাগ বাজে। আপনি যদি এই ট‍্যাগগুলো ছাড়া একটানা আর্টিকেল লিখেন তাহলে একজন পাঠকের পড়তে ভালো লাগবে না। একজন পাঠক সবসময় সাজানো গোছানো পোস্ট পড়তে পছন্দ করেন। তাই আপনার উচিৎ বিভিন্ন ট‍্যাগের ব‍্যবহার করে প‍্যারা করে বা ধাপে ধাপে আর্টিকেল লেখা। এতে করে পাঠক খুশি হবে এবং বুঝতে পারবে যে এই পোস্টে কোথায় কি দেওয়া রয়েছে।

একজন SEO লেখকের কাজ কি?

একজন SEO লেখকের কাজ হচ্ছে একটি আর্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্ক করা পাশাপাশি আর্টিকেল লেখার মাধ‍্যমে একজন পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। একজন SEO লেখক গুগলের মন পড়তে পারে। সে জানে যে কীভাবে লেখলে একটি আর্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্ক করানো যায়। এছাড়াও সে একটি SEO আর্টিকেল লেখার সকল নিয়ম সম্পর্কে জানে এবং এই সকল নিয়ম মেনে আর্টিকেল লেখে।

একজন SEO লেখকের প্রথম কাজ হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ করা? সে জানে কোন কীওয়ার্ডে মানুষ গুগলে সার্চ করছে। তারপর সে এমনভাবে একটি আর্টিকেলের বিষয় সাজায়, যাতে ঐ কীওয়ার্ড গুলো লেখার ভিতরে একবারে মিশে যায়। একজন SEO লেখকের দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ট‍্যাগের সঠিক ব‍্যবহার করা। এছাড়াও কীভাবে একটি পোস্ট সাজালে পাঠক লেখাটি পছন্দ করবে এটিও একজন SEO লেখক করে থাকে।

একজন SEO লেখক একটি আর্টিকেলে পাঠকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলে। SEO লেখক এমনভাবে লেখে যেন পাঠক মনে করে, সে কারও সাথে কথা বলছে। আপনি যদি সেই সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন, তাহলে Google তো বটেই, মানুষও আপনার লেখার প্রেমে পড়ে যাবে। একজন SEO লেখক এমনভাবে আর্টিকেল লিখে যাতে বেশি বেশি ভিজিটর আসে। সে কোনো কিছু কপি করে লেখে না। সবকিছু সঠিক ভাবে রিসার্চ করে লেখে। এগুলোই হচ্ছে মূলত একজন SEO লেখকের কাজ। এছাড়াও SEO সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।

SEO আর্টিকেল রাইটিং কী?

আপনি কি জানেন SEO আর্টিকেল রাইটিং আসলে কী? SEO এর পুরা নাম হচ্ছে Search Engine Optimization. চলুন আপনাকে সহজ ভাবে বুঝাই। ধরুন আপনি গুগলে সার্চ করলেন কীভাবে SEO আর্টিকেল লিখতে হয়। এখন অসংখ্য সার্চ রেজাল্ট এসেছে। এখন আপনি কোন পোস্টটা বেছে নিবেন? আপনি শুরু দিকে যেই পোস্টগুলা এসেছে এবং যেইটার টাইটেল ভালো ও আকর্ষণীয় আপনি ঐ পোস্টে ঢুকবেন। এখন যেই আর্টিকেলগুলা সবার প্রথমে এসেছে এগুলো কি এমনি এমনিই শুরুতে এসেছে পড়েছে? আসলে না। এর পিছনে রয়েছে SEO এর কাজ।

একজন লেখক যখন SEO পদ্ধতিতে একটি আর্টিকেল লিখবে তখন গুগল তা সবার আগে নিয়ে আসবে অর্থাৎ র‍্যাঙ্কিং এ তুলে নিয়ে আসবে। এখন যত বেশি SEO একটি আর্টিকেলে থাকবে তত বেশি তা র‍্যাঙ্কিং এ থাকবে। বর্তমানে SEO নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে যে কার চেয়ে বেশি কে ভালো SEO পোস্ট লিখতে পারবে। এখন এই প্রতিযোগিতায় আপনি যদি SEO ছাড়া আর্টিকেল লিখেন তাহলে টিকতে পারবেন না। তাই আপনার উচিৎ SEO আর্টিকেল শিখা এবং লেখা। আপনি যত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তত বেশি SEO সম্পর্কে দক্ষ হতে পারবেন।

আমাদের এই পোস্টে কীভাবে SEO আর্টিকেল লেখা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমাদের দেখানো পদ্ধতি মতো আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনি গুগলে আপনার পোস্ট র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন। এবং পাঠকরাও আপনার আর্টিকেল পড়ে আনন্দ পাবে এবং সঠিক তথ‍্য পাবে। এছাড়াও SEO আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি পড়ুন।

SEO আর্টিকেল রাইটিং এর গুরুত্ব?

আমরা জেনেছি কীভাবে SEO আর্টিকেল লিখতে হয়। কিন্তু আপনি কি জানি SEO আর্টিকেল রাইটিং এর গুরুত্ব কি? আপনি যদি SEO আর্টিকেল রাইটার হতে চান তাহলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে SEO কি এবং এরপরে জানতে হবে SEO আর্টিকেল রাইটিং এর গুরুত্ব। আপনার যদি নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে অথবা আপনি অন‍্যের জন‍্য কাজ করছেন। প্রতিদিন লিখছেন, কিন্তু ভিজিটর আসছে না বা ক্লাইন্ট সন্তুষ্ট হচ্ছে না। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, SEO আর্টিকেল রাইটিং এর গুরুত্ব কতটা!

একটা চমৎকার আর্টিকেল তখনই কাজের হয়? যখন সেটা মানুষের চোখে পড়ে। আর সেই চোখে পড়ানোর দায়িত্বটা SEO এর। SEO এর মাধ‍্যমে একটা আর্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্ক করে যার ফলে মানুষ আর্টিকেলটি পড়তে পারে। আপনি যদি আমাদের দেখানো, এসইও বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম মেনে কনটেন্ট লিখেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার লেখা সহজেই র‍্যাংক করবে।

আমরা অনেকেই দেখেছি, যারা শুধু সুন্দর করে লেখে, কিন্তু SEO বোঝে না, তাদের কনটেন্ট গুগলে হারিয়ে যায়। অর্থাৎ গুগলে র‍্যাঙ্ক না করাতে মানুষের চোখে পড়ে না। আর যারা সঠিকভাবে কিওয়ার্ড, হেডিং, ট্যাগ, লিংকিং এসব অনুসরণ করে লেখে, তাদের কনটেন্ট বছরের পর বছর আজ ফল দিয়ে যাচ্ছে। তাই বলা যায় আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে SEO এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। SEO ছাড়া একটি আর্টিকেল মূল‍্যহীন হয়ে পড়ে। তাই আপনাকে SEO পদ্ধতিতে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম শিখতে হবে।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ১০টি নিয়ম?

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব সুধু মাত্র একজন ব্লগার বা এক্সপার্ট রাইটার অনুধাবন করতে পারেন। গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক অথবা বাংলা কোরা আপনি যেই প্লাটফর্মের কনটেন্ট ক্রিয়টর বা রাইটার হোন না কেন আপনি অব্যশই এসইও কথাটি শুনে থাকবেন।

এসইও (SEO) অর্থ হলো: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন? অর্থাৎ গুগল এমন একটি প্লাটফর্ম যেটি সম্পূর্ণ রোবট বা এইচটিএমএল, (HTML) সিএসএস, (CSS) জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) ভাষা বা কোডিং ধারা নিয়ন্ত্রিত তাই গুগলে আপনার কোন আর্টিকেল বা প্রডাক্টকে গুগলের লিস্টে বা প্রথম পেইজ এ নিয়ে আসতে হলে এসইও ফ্রেন্ডলি (SEO friendly) অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হবে। আজ আমরা জানবো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ১০টি টিপস।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম?

এসইও সম্পন্ন আর্টিকেল লিখার অনেক গুলো নিয়ম রয়েছে যেগুলো Follow করার মাধ্যমে আপনিও একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
  • সঠিক কিওয়ার্ড সিলেকশন
  • SEO টাইটেল নির্বাচন
  • এসইও সম্পন্ন url তৈরি
  • সঠিক মেটা ডেসক্রিপশন লেখা
  • ইন্টার্নাল ও এক্সটার্নাল লিংক তৈরি
  • ফোকাস কিওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার
  • কপিরাইট ফ্রি Image ব্যবহার
  • ব্যাকলিংক তৈরি করা ইত্যাদি

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড সিলেকশন?

একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার সর্বপ্রথম শর্ত হলো একটি গুড কিওয়ার্ড নির্বাচন করা। আপনি যদি সঠিক ও মানসম্মত কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটিও গুগলের ফাস্ট রেংক এ চলে আসতে পারে। কিভাবে একটি মানসম্মত কিওয়ার্ড নির্বাচন করবেন? অথবা একটি মানসম্মত কিওয়ার্ডের বৈশিষ্ট কি? তা

এসইও ফ্রেন্ডলি টাইটেল নির্বাচন?

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে একটি SEO টাইটেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটি পোস্টকে গুগলের ফাস্ট পেইজে পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা হলো টাইটেলের। তাই টাইটেল নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। যেই ধরনের টাইটেল নির্বাচন করবেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো। টাইটেল কি-ওয়ার্ড 60 শব্দ এবং (835px / 580px) এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। টাইটেলের শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও টাইটেলের মধ্যে কমপক্ষে ১টি Power কি-ওয়ার্ড এবং ১টি নম্বর ও পজিটিভ বা নেগেটিভ ভাবপ্রবণতা রাখতে হবে।

এসইও ফ্রেন্ডলি সঠিক Url তৈরি করা?

আর্টিকেলকে রেংক করাতে SEO friendly টাইটেল তৈরি করা খুবই জরুরি। কেননা একটি অগোছালো অর্থবিহীন আর্টিকেল এড্রেস বা টাইটেল গুগলের কাছে মূল্যহীন। তাই গুগলের কাছে আপনার পোস্টের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য একটি অর্থ সম্পন্ন সঠিক Url নির্বাচন করা প্রয়োজন। একটি মানসম্মত Url এর বৈশিষ্ট্য হলো ১/ অর্থ সম্পন্ন url তৈরি করা ২/ Url এর মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ৩/ একটি শর্ট ও সুন্দর url তৈরি করা।

SEO friendly Meta Description লেখা?

আপনার আর্টিকেলকে গুগলের ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করার জন্য একটি এসইও ফ্রেন্ডলি মেটা ডেসক্রিপশন লেখা অত্যন্ত জরুরী। কেননা আপনি হয়তো লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, গুগল যেসব আটিকেল কে ফার্স্ট পেজে প্রাধান্য দেয়। সেসব আর্টিকেলের মেটা ডেসক্রিপশন আমাদের সামনে প্রদর্শন করে। তাই একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সঠিক মেটা ডেসক্রিপশন নির্বাচন। একটি মেটা ট্যাগ সাধারণত ১৫০ শব্দের মধ্যে লেখতে হয়। তাই ১৫০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অথবা আর্টিকেলের সারাংশ ফুটিয়ে তুলতে হবে।

অন পেজ এসইও কি? On Page SEO করার বাংলা গাইড?

অন পেজ এসইও ( on-page seo ) বলতে Search Engine Ranking পাওয়ার জন্য কোন ওয়েবপেজর মধ্যে কন্টেন্ট, ইমেজ এবং লিংক ইত্যাদি টুইক বা টিউন করার প্রক্রিয়া। কোন কিওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে র‍্যাঙ্কিং করানোর জন্য অন পেজ এসইও করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অন পেজ এসইও কি?
অন পেজ এসইও হল অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কোন ওয়েবপেজের ভিতরের উপাদান (টেক্সট, ইমেজ ইত্যাদি) কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজেশন। একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, মেটাডেটা এবং কোডের মতো অভ্যন্তরীণ উপাদান সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করার প্রক্রিয়াকে বুঝায়।

অন পেজ এসইও-কে অনেক সময় অন সাইট এসইও বলা হয়? এই কাজটি করার হয় কি ওয়ার্ড এর বিপরীতে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট বা ফলাফল (SERP) এর প্রথম পৃষ্ঠায় র‍্যাঙ্কিং করা। সহজ করে বললে “On page seo " করার মুল উদ্দেশ্য হল, Google এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো যেন আপনার কন্টেন্ট আরও ভালভাবে বুঝতে পারে সেটাতে তাদের সহায়তা করা৷

এই আর্টিকেলে আমরা যা যা জানবোঃ
অন পেজ এসইও কি? On Page SEO করার বাংলা গাইড?

  • অন পেজ এসইও এর প্রাথমিক ধারণা
  • কেন এটি প্রয়োজন
  • কিভাবে অনপেজ এসইও করা হয়
  • অন পেজের জন্য গুগল র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরগুলো কি কি
  • অন পেজ এবং অফ পেজ ও টেকনিক্যাল এসইও এর পার্থক্য
ওয়েবসাইটের পেজ এসইও করার জন্য কয়েকটি বিশেষ ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
  • প্রথমে, ওয়েবপেজের টাইটেল ট্যাগ এমনভাবে তৈরি করতে হয়, যা ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
  • এরপর, মেটা ডেসক্রিপশন লিখতে হয়, যা পেজের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয় এবং ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করে।
  • কন্টেন্টের মধ্যে সঠিক হেডিং ব্যবহার করে বিষয়বস্তু গুছিয়ে লিখতে হয়।
  • মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়, যা ভিজিটরদের জন্য দরকারি তথ্য সরবরাহ করে।
  • সেই সাথে, আকর্ষনীয় ছবি ব্যবহার করে পেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হয়।
  • এসব কিছুর পাশাপাশি, যে ব্যক্তি সার্চ করছেন তার উদ্দেশ্য (সার্চ ইন্টেন্ট) বোঝা এবং সেই অনুযায়ী কীওয়ার্ড ব্যবহার করে পেজ অপটিমাইজ করা খুব জরুরি। এই সবকিছু সঠিকভাবে করার মাধ্যমেই একটি ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী করে তোলা যায়।
Google র‍্যাঙ্কিং পেতে অন পেজ এসইও করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারদের জন্য একটি সাইটের কন্টেন্ট বোঝার সুবিধা এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত করে তোলার জন্য অন-পেজ অপটিমাইজেশন দরকার।

যখন একটি ওয়েবসাইট সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা হয়, তখন সেটি সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে সহজে বোধগম্য হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে এই ওয়েবসাইটটি কী বিষয়ে তথ্য দিচ্ছে। এর ফলে, ওয়েবসাইটটি নির্দিষ্ট কিছু কিওয়ার্ডের জন্য সার্চ রেজাল্টে ভালো র‍্যাঙ্ক পেতে পারে।

এর পাশাপাশি, অন-পেজ অপটিমাইজেশন ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience) উন্নত করতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অপ্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড ব্যবহার (Keyword Stuffing) কমানো যায়, যা কন্টেন্টকে আরও সহজবোধ্য করে তোলে।

এছাড়াও, এটি পেজ লোডিং-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করে, যা ভিজিটরদের ধৈর্য ধরে ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করতে উৎসাহিত করে। ভালো অন-পেজ অপটিমাইজেশনের কারণে ওয়েবসাইটের ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) বাড়ে এবং বাউন্স রেট কমে যায়, যা সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং-এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলো এখন Hummingbird, আধুনিক মেশিন লার্নিং BERT, RankBrain, এর মতো অ্যালগরিদম ব্যবহার করে একটি সার্চ কোয়েরির করার অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। তাই অনপেজ এসইও শুধু কিছু চেকলিস্টের মধ্যে আটকে নেই। বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ব্যবহারকারীর চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কন্টেন্টকে আরও উপযোগী করে তোলে।

গুগলের মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, কোন ওয়েবপেজ- সার্চারের ইন্টেনশন (সার্চ করার কারণ) কতটা পূরণ হয়েছে। এক্ষেত্রে, কন্টেন্টের মান এবং ওয়েবপেজের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স – এই দুইটি বিষয়ই বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়।যদি সার্চ ইঞ্জিন মনে করে যে পেজটি পাঠকদের জন্য প্রয়োজনীয় এবং তথ্যপূর্ণ, তবে সেটি সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে স্থান পায়।

এখানে বলে রাখা ভালো rank পেতে শুধু ভাল কন্টেন্ট এর কোন বিকল্প নেই। এসইও-এর জন্য টপিক-সংশ্লিষ্ট এবং তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ কন্টেন্ট ভালো না হলে গুগলের প্রথম পেজে আসা প্রায় অসম্ভব।

গুগলের অ্যালগরিদমগুলো কমপ্লেক্স প্রোগ্রাম, যা কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পেজগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলোকে র‍্যাঙ্ক দেয়। উদাহরণস্বরূপ, গুগলের পান্ডা অ্যালগরিদম খারাপ বা নিম্নমানের কন্টেন্ট খুঁজে বের করে এবং সেগুলোর র‍্যাঙ্ক কমিয়ে দেয়।

এজন্য অন-পেজ এসইও গুগল র‍্যাঙ্কিং -এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ওয়েবপেজের মধ্যে অন-পেজ এসইও কীভাবে করতে হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিচে করা হলো।

অন পেজ এসইও?

আপনার ওয়েবসাইটকে কিংবা কন্টেন্টকে বুস্ট করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতির নাম হল অন পেজ এসইও। এটিতে অন পেজ এসইও কি-ওয়ার্ড, মেটা ডেসক্রিপশন, টাইটেল ট্যাগ, টেক্সট এবং ওয়েবসাইট স্ত্রাকচার অপটিমাইজেশন করা হয়।

কিওয়ার্ড এর ব্যবহার করার টিপস?

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হলে কনটেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড এর ব্যবহার করতে হবে।
  • কোন আর্টিকেলের টাইটেল, H1, মূল কন্টেন্ট ও হেডিং এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
  • এছাড়াও, ইমেজের alt tag ও URL এ Keyword টি ব্যব্যবহার করা যাবে।
  • তবে কিওয়ার্ডটি বারে বারে ব্যবহার বা keyword staffing করা যাবে না।
  • এই ক্ষেত্রে আপনি রিলেটেড কিওয়ার্ড (related keyword) ও সমার্থক শব্দ (synonyms) ব্যবহার করতে পারেন। বর্ণিত উপায়ে পেজ এর অপটিমাইজ করে অধিকতর কিওয়ার্ড এ র‍্যাঙ্কিং পাওয়া যাবে।
  • কারন, আপনার কনটেন্ট এর Depth বৃদ্ধি পাবে, ও কিওয়ার্ড এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকা যাবে।
2. এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং (SEO Friendly Article Writing)?
সার্চারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী এসইও কন্টেন্ট রেডি করে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি শৈল্পিক ব্যাপার। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Content is king"। এই উক্তিটি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা এসইও সেক্টরের এক অলিখিত সত্যে। এসইও করতে বা গুগলে র‍্যাঙ্কিং করতে হলে high quality content লাগবে।

আমার মতামত ?

আমার মতে, SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি একজন দক্ষ লেখক হিসেবে পরিচিতি পাবেন। আমরা যারা SEO লেখক, শুরুতে আমাদের সবারই সমস্যা হয়েছে। আপনারাও শুরুতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আমরা আপনাকে বলি যে কখনো হাল ছাড়বেন না। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করে যান তাহলে আপনি একদিন অবশ্যই দক্ষ SEO লেখক হয়ে উঠতে পারবেন।

যার অভিজ্ঞতা যত বেশি তার SEO রাইটিং এর দক্ষতা তত বেশি। আপনি যদি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে আপনাকে গুগল ও পাঠক দুজনকেই আকর্ষণ করতে হবে। এতে করে আপনার পরিশ্রমের ফল আপনি পাবেন। আপনি আমাদের সাথে SEO আর্টিকেল লেখা নিয়ে আপনার মতামত সেয়ার করতে পারেন। আশা করি আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি সম্পূর্ণ SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং এর গাইড লাইন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য?

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহু সর্বশক্তিমান

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রবিউল নেটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url