গরুর মাংস দিয়ে বানানো সেরা ১০টি ঈদের রেসিপি?
গরুর মাংস দিয়ে বানানো সেরা ১০টি ঈদের রেসিপি সম্পর্কে আজকের আমরা জানবো? আজকের এই গরুর মাংসের মজাদার রেসিপি একবার রান্না করে খেলে সারা জীবন সেই স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো রেসিপি গুলো জানতে নিচে বিস্তারিত পড়ুন।
আমরা বাঙালিদের কাছে গরুর মাংস মানেই মুখে জল আসার মত এক অবস্থা? তার উপর যদি আজকে দেওয়া রেসিপি গুলো একবার ট্রাই করে তাহলে সারা জীবন এই স্বাদ ভুলবেন না। সামনে আসছে কোরবানি ঈদ তাই এই রেসিপি গুলো অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
গরুর মাংস দিয়ে বানানো সেরা ১০টি ঈদের রেসিপি?
গরুর মাংস দিয়ে বানানো সেরা ১০টি ঈদের রেসিপি যা একবার ট্রাই করলে আপনার মুখে সারাজীবন স্বাদ লেগে থাকতে বাধ্য। গরুর মাংসের নাম শুনলেই অনেকের মুখে পানি এমনিতেই চলে আসে। তার উপর আজকে দেওয়া রেসিপি গুলো ট্রাই করলে সারাজীবন ভুলতে পারবেন না। রেসিপি গুলো বানাতে কোনো বাহিরের মসলা বা দামি কোনো উপকরণ একদম ব্যবহার করা হয়নি তাই আপনি নিশ্চিন্তে এই রেসিপি গুলো একবার হলেও বানিয়ে দেখতে পারেন।
সামনে আসছে কোরবানি ঈদ? আর কোরবানি ঈদ মানেই গরুর মাংসের বিভিন্ন রান্নার স্বাদ গ্রহণ করা। এবারের সামনের কোরবানি ঈদে গরুর মাংসের রান্না গুলো যদি একটু ভিন্ন হয় তাহলে খারাপ হয়না। তাই আজকে সেই দিক বিবেচনা করেই গরুর মাংসের সেরা ১০টি রেসিপি নিয়ে এসেছি। বিশেষ করে আজকে সহজ পদ্ধতিতে গরুর মাংসের ভুনা রেসিপি নিয়ে আলোচনা করা হবে। যা বানানো একদম সহজ ও মুখরোচক। এরপর গরুর মাংসের কালা ভুনা সবার পছন্দের একটি খাবার। এই রেসিপিও আজ সকলের সামনে তুলে ধরা হবে।
এছাড়াও এবারের ঈদে একটু আলাদা স্বাদ গ্রহণ করতে গরুর মাংস দিয়ে আফগানি বিরিয়ানি রেসিপি একবার হলেও ট্রাই করতে ভুলবেন না। অল্প সময়ে ও খুব সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে আফগানি বিরিয়ানি রান্না করতে হয় এ সম্পর্কেও জানবো আজ। এরপর গরুর মাংসের স্টেক ও গরুর মাংসের কাবাব বানানোর রেসিপি বানানোর কথা না বললেই নয়। রেস্টুরেন্টে স্টেক বা কাবাব খেতে গেলে অনেক টাকা গুনতে হয় কিন্তু সেই একই স্বাদের স্টেক ও কাবাব আজকের রেসিপি থেকে খুব সহজে বাড়িতেই বানিতে ফেলতে পারবেন।
এরপর চুই ঝাল দিয়ে গরুর মাংস রান্নার কথা না বললেই নয়? সম্প্রতি প্রায় সকল জায়গায় চুই ঝালের মাংস বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। তাই আজকে আমরা একটু ইউনিক পদ্ধতিতে চুই ঝালের গরুর মাংসের রেসিপি সম্পর্কে জানবো। সব শেষে আমরা জানবো সকলের পছন্দের বিরিয়ানি তেহেরি রান্নার রেসিপি সম্পর্কে। আমরা শুধু গরুর মাংসের রেসিপি সম্পর্কে জানবো না বরং যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ রয়েছেন তারা কিভাবে গরুর মাংসের রান্না খাবেন সে সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। তাই এখন গরুর মাংস দিয়ে বানানো সেরা ১০টি ঈদের রেসিপি সম্পর্কে জানতে নিচে বিস্তারিত পড়ুন।
সহজ পদ্ধতিতে গরুর মাংসের ভুনা রেসিপি?
গরুর মাংসের ভুনা এমন একটি রেসিপি যা ঈদের দিন ঘরে ঘরে সবার টেবিলে জায়গা করে নেয়। বিশেষ করে কোরবানির পরপরই দ্রুত রান্না করার জন্য সহজ ভুনা রেসিপিটি খুব জনপ্রিয়। এই রেসিপিতে বেশি উপকরণের প্রয়োজন পড়ে না। গরুর ভুনা রেসিপির সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি একদম ঝামেলাবিহীনভাবে রান্না করা যায়। এখন আমরা ৪ থেকে ৫ জনের জন্য গরুর মাংসের ভুনা রেসিপি রান্না করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানবো।
উপকরণঃ
- হাড়সহ মাঝারি টুকরা করা ১ কেজি মাংস
- ৩ কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- ২টি থেকে ৩টি তেজপাতা
- ১ টুকরো দারুচিনি
- ২টি থেকে ৩টি এলাচ
- ৩টি থেকে ৪টি লবঙ্গ
- স্বাদমতো লবণ
- ১/২ কাপ পরিমাণ তেল ( রাইচ ওয়েল/ সরিষা তেল/ সয়াবিন তেল)
- ৫টি থেকে ৬টি কাঁচা মরিচ
- ধনেপাতা ( আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন)
- পরিমাণ মত পানি
উপকরণ গুলো হাতের কাছে প্রস্তুত করে প্রথমেই একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাঁজতে হবে। এচার আদা, রসুন বাটা এক মিনিট সময় নিয়ে নেড়ে তারপর হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। রান্নার স্বাদ ভাড়ানোর এটিই হলো গোপন রহস্য।
এরপর গরুর মাংস দিয়ে মসলার সাথে ভালোভাবে কষাতে হবে? চুলার আঁচ একটু কমিয়ে কম করে হলেও ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নিয়ে মাংস ভালোভাবে কষাতে হবে। এরপর মাংস একটু শুকলো হয়ে আসলে সাদা পানি অথবা গরম পানি ঢেলে দিতে হবে। এরপর মাঝারি আঁচে আরোও ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় মাংস সিদ্ধ করতে হবে। আর আপনি যদি প্রেসার কুকার ব্যবহার করেন তাহলে ৪ থেকে ৫ টা সিটি দিতে হবে।
মাংস সিদ্ধ হয়ে আপনি শুকিয়ে আসলে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট ভালোভাবে নাড়তে হবে যতক্ষন পর্যন্ত মাংসটা ঘন ও তেল ছেড়ে না দেয় ঠিক ততক্ষন। এবার গরম মসলা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্পকিছুক্ষন জাল দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। আপনি চাইলে পরিবেশন করার জন্য ধনে পাতা ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাস এভাবেই খুব সহজে আপনিও মুখরোচক গরুর মাংসের ভুনা রেসিপি বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
গরুর মাংস দিয়ে সহজ পদ্ধতিতে কালা ভুনা রেসিপি?
কালা ভুনা এমন একটি রেসিপি যা কেবল স্বাদেই নয় বরং ঘ্রাণে আর রঙেও একেবারে অনন্য। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই রান্নাটি এখন সারা দেশেই ব্যাপক জনপ্রিয় বিশেষ করে ঈদের দিনে। ঘন মসলা, কষানো ঝোল এবং গাঢ় রঙের জন্য এই পদটি আলাদা। শুনতে যত কঠিন মনে হয় রান্নার পদ্ধতি কিন্তু বেশ সহজ। আজ আমরা জানবো ৪ থেকে ৫ জনের জন্য সহজভাবে গরুর মাংসের কালা ভুনা রান্নার পদ্ধতি।
উপকরণঃ
- ১ কেজি হাড়সহ মাঝারি টুকরা করা গরুর মাংস
- ৪ কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- ২টি থেকে ৩টি তেজপাতা
- ১ টুকরো দারুচিনি
- ২টি থেকে ৩টি এলাচ
- ৩টি থেকে ৪টি লবঙ্গ
- স্বাদমতো লবণ
- পরিমাণ মত পানি ও তেল
প্রথমেই উপকরণ গুলো হাতের কাছে প্রস্তুত করে নিতে হবে যেন রান্নার সময় অসুবিধা না হয়। এবার একটি বড় হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভেজে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে হবে যতক্ষণ না পেঁয়াজ গাঢ় বাদামি হয়ে যায়। কালা ভুনার স্বাদ আর রঙ আসার এটিই প্রধান ধাপ।পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে তাতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে ১ মিনিট নাড়তে হবে। এরপর একে একে হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে ২-৩ মিনিট ভালোভাবে কষাতে হবে। এসময় আঁচ মাঝারি রাখতে হবে যেন মসলা পুড়ে না যায়।
এখন গরুর মাংস দিয়ে দিতে হবে এবং মাংসের সাথে মসলা ভালোভাবে মিশিয়ে ধৈর্য নিয়ে কষাতে হবে। কম করে হলেও ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় নিয়ে মাংসের নিজস্ব রসে কষিয়ে নিতে হবে। এরপর প্রয়োজন মতো গরম পানি দিয়ে হাড় ঢেকে দিতে হবে। এবার ঢেকে মাঝারি আঁচে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট মতো রান্না করতে হবে। প্রেসার কুকার ব্যবহার করলে ৪টি সিটি যথেষ্ট।
মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে এবং যতক্ষণ না ঝোল ঘন হয়ে তেল ছাড়ে ততক্ষণ নাড়তে হবে। এই সময় চাইলে ১ চা চামচ চিনি দিতে পারেন এতে কালো রঙ আরও গাঢ় হবে। অবশেষে গরম মসলা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কয়েক মিনিট জাল দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। চাইলে উপরে সামান্য ধনেপাতা ছিটিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। তবে মাংসের রঙ কালো না হওয়া পর্যন্ত রান্না থামানো যাবেনা। বাজারে অনেক কালা ভুনার মসলা পাওয়া যায় আপনি চাইলে রান্নাই সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
গরুর মাংস দিয়ে আফগানি বিরিয়ানি রেসিপি?
আফগানি বিরিয়ানি একাধারে সুগন্ধি, মশলাদার এবং অন্য রকম স্বাদের জন্য অনেক পরিচিত। গরুর মাংস দিয়ে তৈরি এই বিরিয়ানি আপনাকে তার সুগন্ধ এবং স্বাদের জন্য মুগ্ধ করবে। এটি একটি বিশেষ ধরনের বিরিয়ানি যা সাধারণত একটু আলাদা পদ্ধতিতে রান্না করা হয়। এটি বিশেষ করে ঈদের সময় কিংবা কোনো বিশেষ আয়োজনে রান্না করা হয়। এখন আমরা ৪ থেকে ৫ জনের জন্য গরুর মাংস দিয়ে আফগানি বিরিয়ানি রান্না করার পদ্ধতি জানবো।
উপকরণঃ
- ২ কাপ পরিমাণ বাসমতি চাল
- হাড়সহ মাঝারি টুকরা করা ১ কেজি মাংস
- ৩ কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- ২টি থেকে ৩টি তেজপাতা
- ১ টুকরো দারুচিনি
- ২টি থেকে ৩টি এলাচ
- ৩টি থেকে ৪টি লবঙ্গ
- স্বাদমতো লবণ
- ১/২ কাপ পরিমাণ তেল ( রাইচ ওয়েল/ সরিষা তেল/ সয়াবিন তেল)
- ৫টি থেকে ৬টি কাঁচা মরিচ
- ধনেপাতা ( আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন)
- পরিমাণ মত পানি
- আদা, রসুন, পুদিনা ও ধনেপাতা একত্রে পেস্ট
প্রথমে গরুর মাংস ১/২ কাপ দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লবণ এবং ১ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এরপর বাসমতি চাল ধুয়ে একটি পাত্রে অল্প লবণ ও তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পুরোপুরি সেদ্ধ না করে কিছুটা কাঁচা রেখে সিদ্ধ করে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
এরপর একটি বড় প্যানে গরম তেল ও আপনি চাইলে ঘি দিয়ে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ যোগ করে নাড়তে হবে। সুগন্ধ বের হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালী রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাঁজতে হবে। এরপর ম্যারিনেট করা গরুর মাংস দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালোভাবে কষাতে হবে। এরপর একটি বিরিয়ানি প্যানে মাংসের মিশ্রণ ঢেলে এর উপরে কিছু কাঁচা মরিচ, কুচি করা পুদিনা, ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে ও সেদ্ধ করা বাসমতি চাল প্যানের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। সব শেষে গরম মসলা গুঁড়ো ও আপনি চাইলে ঘি দিয়ে মাঝারি আঁচে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রান্না করতে হবে। ব্যাস এরপরই আপনার আফগানি বিরিয়ানি রেসিপি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত
সহজে গরুর মাংসের স্টেক বানানোর রেসিপি?
গরুর মাংসের স্টেক একটি সুস্বাদু ও প্রিয় খাবার যা আপনি খুব সহজেই ঘরেই বানাতে পারেন। এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনিও চাইলে খুব কম উপকরণে একটি মজাদার গরুর মাংসের স্টেক তৈরি করতে পারবেন। এই রেসিপি এমনভাবে সাজানো যাতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আপনি খুব সহজে স্টেক রান্না করতে পারেন।
উপকরণঃ
- ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম টুকরা করা গরুর মাংস
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া
- স্বাদমতো লবণ
- ১ টেবিল চামচ সয়া সস
- ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
- ১ টেবিল চামচ মাখন (আপনি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন)
- রোজমেরি (আপনি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন)
প্রথমে গরুর মাংসের টুকরাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে? এরপর একটা বড় পাত্রে সেই মাংস রাখতে হবে। এখন তার ওপর একটু রসুন কুচি, স্বাদমতো লবণ, হালকা গোল মরিচ গুঁড়া, আর এক চামচ সয়া সস দিয়ে ভালোভাবে ম্যারিনেট করে নিতে হবে। আপনি চাইলে একটু অলিভ অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন এতে মাংসটা আরও কোমল হবে। এইভাবে মিশিয়ে রেখে দিন অন্তত ৩০ মিনিট তবে সময় থাকলে এক দু ঘণ্টা রাখলে স্বাদ অনেক ভালো হয়।
এবার একটা ভারী তলযুক্ত ফ্রাইপ্যান গরম করতে হবে? তেল গরম হলে একটু মাখন দিয়ে দিতে হবে এতে স্টেকে সুন্দর একটা ঘ্রাণ আর রিচ টেক্সচার আসবে। এখন ম্যারিনেট করা মাংসের টুকরাগুলো প্যানে দিয়ে দুই পাশ ভালো করে সেঁকে নিতে হবে। এক এক পাশ ৩ থেকে ৪ মিনিট করে রাখলেই হয়। তবে আপনি যদি একটু বেশি রান্না করা পছন্দ করেন তাহলে সময় একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। মাঝেমধ্যে স্টেকের ওপর রোজমেরি ছড়িয়ে দিতে পারেন এতে ঘ্রাণ আরও সুন্দর হয়। শেষে মাংসটা প্যান থেকে তুলে একটা প্লেটে রেখে দিন আর ওপর দিয়ে একটু ঢেকে ৫ মিনিট রেস্ট দিন। ব্যাস এভাবেই ঘরে বসেই রেস্তরা স্টাইলে স্টেক বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরুর মাংসের কাবাব রেসিপি?
কাবাব রান্না করার কথা শুনলেই অনেকে ভাবেন অনেক ঝামেলার বিষয়? এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই এই রেসিপি বানানো যায়। বিশেষ করে এই রেসিপি যায়া খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য সেরা একটি রেসিপি হতে পারে । ঈদের দিনে অতিথি আপ্যায়নের জন্য এটি দারুণ একটি খাবার হতে পারে গরুর কাবাব। এখন আমরা গরুর মাংসের কাবাব রেসিপি সম্পর্কে জানবো।
উপকরণঃ
- ৫০০ গ্রাম গরুর কিমা
- ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ চা চামচ ধনে গুঁড়া
- ১ চা চামচ জিরা গুঁড়া
- স্বাদমতো লবণ
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়া
- ২ থেকে ৩টি কাঁচা মরিচ কুচি
- ২ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
- ১টি ডিম
- ২ টেবিল চামচ বেসন
- পরিমাণ মত তেল
সবার আগে গরুর কিমাটা একটু ঝরঝরে করে নিন? তারপর একটা বড় পাত্রে কিমা নিয়ে তার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, রসুন-আদা বাটা, মরিচ গুঁড়া, ধনে জিরা গুঁড়া, গরম মসলা, কাঁচা মরিচ কুচি, আর লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণে দিন একটা ডিম আর ২ টেবিল চামচ বেসন বা চানাচুর গুঁড়া এতে কাবাব আর ভাঙবে না। সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মেখে ফেলুন যেন একটানা একটা মিশ্রণ তৈরি হয়। এবার ঢেকে রেখে দিন ৩০ মিনিট যাতে মশলার স্বাদ মাংসের মধ্যে ভালোভাবে ঢুকে যায়।
এইবার মিশ্রণ থেকে একটু একটু করে নিয়ে হাত দিয়ে লম্বাটে বা গোল কাবাব শেপ তৈরি করে নিন। প্যানে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে কাবাবগুলো ভেজে নিন। প্রতিটা কাবাব যেন দু’পাশ থেকে ভালোভাবে সোনালি হয়ে আসে। এই দিক লক্ষ্য করে কাবাব গুলো ভাঁজতে হবে। এভাবেই সকল কাবাব ভেজে নিজের মত করে পরিবেশন করতে পারেন।
চুই ঝাল দিয়ে গরুর মাংস রান্নার ইউনিক রেসিপি?
চুই ঝাল একটি বিশেষ ধরনের মসলা যা সাধারণত বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম এলাকা গুলোতে খাবারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর গরুর মাংসের সঙ্গে চুই ঝাল মাংসের স্বাদ কয়েক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ঝালটি স্বাদে খুব বেশি ঝাল না হলেও এর ফ্লেভার অসাধারণ। চুই ঝাল এক প্রকার গাছের সিকড় যার ফলে এটি রান্নার ঝাল বাড়ায় না বরং এটি মাংসের এক প্রকার ঘ্রাণ ও অন্যরকম স্বাদ প্রদান করে। এটি মাংসের সাথে রান্না করলে একদম ইউনিক একটা স্বাদ তৈরি করে।
উপকরণঃ
- লম্বা করে কাটা চুই ঝাল ১ কাপ পরিমাণ
- হাড়সহ মাঝারি টুকরা করা ১ কেজি মাংস
- ৩ কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ১/২ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- ২টি থেকে ৩টি তেজপাতা
- ১ টুকরো দারুচিনি
- ২টি থেকে ৩টি এলাচ
- ৩টি থেকে ৪টি লবঙ্গ
- স্বাদমতো লবণ
- ১/২ কাপ পরিমাণ সরিষার তেল
- ৫টি থেকে ৬টি কাঁচা মরিচ
- পরিমাণ মত পানি
প্রথমে গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে সরিষার তেলে তেজপাতা? এলাচ, দারুচিনি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিতে হবে। এরপর তাতে আদা রসুন বাটা, মরিচ, ধনে-জিরা গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মসলা কষিয়ে মাংস দিয়ে ভালোভাবে ভুনা করে নিতে হবে। মাংস থেকে যখন তেল ছেড়ে দেবে তখন পরিষ্কার করে কাটা চুই ঝাল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ঢেকে দিতে ধীরে ধীরে চুলায় সেদ্ধ হতে দিন যেন মাংস আর চুই দুটোই নরম হয়।
যখন ঝোলটা ঘন হয়ে আসবে আর তেল উপরে উঠে আসবে তখন বুঝবেন রান্না শেষের পথে। এবার উপর দিয়ে একটু গরম মসলা ছড়িয়ে দিন আর ঢেকে রেখে ২ থেকে ৩ মিনিট রেখে দিন। এই রান্নাটার মজাই হচ্ছে এর ঘ্রাণ আর ঝাঁজ। চুই ঝাল নাকে মুখে এক অন্যরকম তৃপ্তি এনে দেয়। সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করলেই বোঝা যাবে এর আসল স্বাদ কতটা দারুণ। একবার খেলে এই ইউনিক রেসিপি বারবার রান্না করতে মন চাইবে।
গরুর মাংস দিয়ে তেহেরি রান্নার সহজ রেসিপি?
অনেকেই ভাবেন যে তেহেরি রান্না করা অনেক কঠিন ও সময় সাপেক্ষ কিন্তু বাস্তবে তেহেরি রান্না করা অনেক সহজ। আপনি চাইলে আমাদের দেওয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে তেহেরি রান্না করতে পারেন। তেহেরি রান্না করা সহজ তার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে চাল ও মাংস এখানে এক সাথে রান্না করা যায়। যার ফলে সময় ও পরিশ্রম দুইটিই কম লাগে। এখন আমরা জানবো কিভাবে অল্প সময়ে তেহেরি রান্না করা যায়।
উপকরণঃ
- ২ কাপ বাসমতি/পোলাও চাল
- হাড় সহ ৫০০ গ্রাম গরুর মাংস
- ১/২ কাপ দই
- ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
- ২ থেকে ৩টি করে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ
- ২টি তেজপাতা
- স্বাদমতো লবণ
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ হলুদ
- ১ চা চামচ জিরা গুঁড়া
- ১/২ কাপ তেল অথবা ঘি
- পরিমাণ মত গরম পানি
প্রথমে চাল ধুয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে? এরপর প্যানে তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা দিয়ে দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। তারপর দিন আদা রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। মসলা কষে নিলে গরুর মাংস দিয়ে দিতে হবে এবং মরিচ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে ভালো করে ভুনা করতে হবে।
ভুনা হয়ে গেলে দই দিয়ে আরও কষিয়ে নিতে হবে? এরপর পানি দিয়ে ঢেকে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। য়াপনি চাইলে এই কাজ প্রেসার কুকার ব্যবহার করেও করতে পারবেন। তবে প্রেসার কুকারে ৩ থেকে ৪টি সিটি দিলেই হবে। মাংস সেদ্ধ হলে তাতে ভেজানো চাল দিয়ে দিতে হবে এবং নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মত পানি দিয়ে চাল ও মাংস অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। চাল ও মাংস একসাথে সুন্দরভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলেই গরুর মাংসের তেহেরি পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য গরুর মাংসের রেসিপি?
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে গরুর মাংসের বিভিন্ন রান্না খেতে চাননা। আবার অনেকের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, এলার্জি ইত্যাদি রোগ থাকার কারণে গরুর মাংস খেতে ভয় করেন। যদি ডাক্তার সরাসরি গরুর মাংস খেতে নিষেধ করেন তাহলে অবশ্যই গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর যদি ডাক্তার পরিমাণ মত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া কিছু নিয়ম মেনে গরুর মাংস রান্না করলে আশা করা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না।
- চর্বি বাদ দিয়ে মাংস ব্যবহার করা।
- তেল ও লবন কম ব্যবহার করা।
- সোয়াবিন তেল ব্যবহার না করে সরিষার তেল ব্যবহার করা।
- অতিরিক্ত ঝাল বা তীব্র মসলা ব্যবহার না করা।
- রান্নায় ঘি ব্যবহার না করা।
- রান্নায় প্রাকৃতিক মসলা ব্যবহার করা।
- রান্নায় ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করা।
- সঠিক পরিমাণে মাংস সিদ্ধ করা ইত্যাদি।
কোরবানির ঈদের পোলাও এবং মাংসের ১০টি বিশেষ রেসিপি?
লাইফস্টাইল ডেস্ক : কোরবানির ঈদ এসে গেছে, আর এই ঈদ মানেই তো খানাপিনার বিশেষ আয়োজন। সব পরিবারের খাবার টেবিলে দেখা যায় গরু ও খাসির মাংসের নানা পদ। খাওয়াটা তখনই জমে যদি রান্নাটা ভালো হয়, যদি থাকে আইটেমে বৈচিত্র্য। ভোজন বিলাসীদের রসনাকে উসকে দিতে গরু ও খাসির মাংসের মজাদার ১০ টি রেসিপি তুলে ধরা হলো।
১. মেজবানি মাংস
উপকরণ : গরুর মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও লাল মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১০/১২টি, গোলমরিচ ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৫/৬টি, জয়ফল ও জয়ত্রী আধা চা চামচ, মেথি গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি : গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন? এবার একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ সহ সব মসলা নিয়ে ঘণ্টা খানিক মেরিনেট করে রাখুন। অর্ধেক পেঁয়াজ তেলে ভেজে বেরেস্তা করে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে মেরিনেট করা মাংস কষিয়ে নিন। হাঁড়িতে ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষাতে হবে।
মাংস থেকে পানি ঝরে গেলে মৃদু আঁচে মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে তারপর পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু গরুর মেজবানি মাংস।মেজবান মাংস রান্নার জন্য দোকানে লাল মরিচের গুঁড়া পাওয়া যায় যেটা খেতে খুব একটা ঝাল না কিন্তু মাংসের লালা রং করার জন্য এই ঝালের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়।
২. গরুর কালা ভুনা
উপকরণ : ২ কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস, ১/২ চামচ বা মরিচ গুড়া, ১ চামচ হলুদ গুড়া, ১/২ চামচ জিরা গুড়া, ১/২ চামচ ধনিয়া গুড়া, ১ চা চামুচ পেঁয়াজ বাটা, ২ চামচ রসুন বাটা, ১/২ চামচ আদা বাটা, সামান্য গরম মশলা (দারুচিনি, এলাচি), ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি, কয়েকটা কাঁচা মরিচ, পরিমান মত লবন, সরিষার তেল।
প্রণালি: গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন? তারপর লবন, তেল ও বাকি সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে (পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ বাদে)। মাখানো মাংসটি এবার চুলায় হালকা আঁচ রেখে জ্বাল দিতে হবে। এবার দুই কাপ পানি দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হতে সময় লাগবে। যদি মাংস সেদ্ধ না হয় তবে আবারো গরম পানি এবং জাল বাড়িয়ে নিন।
ঝোল শুকিয়ে মাংস নরম হয়ে গেলে রান্নার পাত্রটি সরিয়ে রাখুন? এবার অন্য একটি কড়াই নিয়ে, তাতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ ভাঁজতে থাকুন। সোনালী রং হয়ে আসলো সেই কড়াইতে গরুর মাংস দিয়ে , হালকা আঁচে ভাজতে হবে। মাংস কাল হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন, খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাংস পুড়ে না যায়। সবশেষে রান্নাটি নামানোর আগে লবণটি চেখে নিন। কালা ভুনার স্বাদ আরো বাড়াতে খাঁটি সরিষার তেল ব্যাবহার করুন।
৩. গরুর কড়াই গোস্ত
উপকরণ : গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদ ও গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৩/৪ টুকরো, জয়ফল, জয়ত্রী বাটা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, টমেটো কিউব ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, তেল ১ কাপ, রসুন কোয়া ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি : গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন? এবার একটি পাত্রে মাংস, টক দই, লবণ সহ সব মসলা একসঙ্গে ভালো করে মেখে ২০/২৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। হাঁড়িতে তেল গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা হালকা বাদামী করে ভেজে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে।
কিছু সময় পর মাংস সেদ্ধ হল কিনা দেখে নিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে ও মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, টমেটো কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে মাংস কড়াইএ দিয়ে ২/৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গরুর মাংসের কড়াই গোস্ত।
৪. কাটা মসলায় বিফ ভুনা
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল চাচমচ, রসুন বাটা আধা টেবিল চামচ, জয়ফল ও জয়ত্রী আধা টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ১/২ টি, শুকনো মরিচ কাটা ১৫/২০টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টক দই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি : টক দই দিয়ে মাংস আধা ঘণ্টা ভালো করে মেরিনেট করে রেখে দিতে হবে? চুলায় তেল গরম হলে মাংস ছেড়ে দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজা হলে পেঁয়াজ কুচি ও শুকনো মরিচ দিতে হবে। এবার সব মসলা মাংসে দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে একটু পানি দিয়ে দমে বসিয়ে রাখতে হবে। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কাটা মসলায় বিফ ভুনা।
৫. ঝুরি মাংস
উপকরণ : গরুর মাস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, ১ চা-চামচ আদা বাটা , ১ চা-চামচ রসুন বাটা , লবণ স্বাদমতো, চা-চামচ গোলমরিচ বাটা, ১ চা-চামচ জিরা বাটা, ধনে বাটা ১ চা-চামচ, বাদাম বাটা ১/২ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সরষে বাটা ১/২ চা-চামচ, এলাচি-দারুচিনি-লবঙ্গ কয়েকটা, তেজপাতা ৩-৪টা, তেল ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া ১/২ চা-চামচ।
প্রণালি: পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ তেলে বাদামি করে ভেজে নিয়ে সব মসলা কষিয়ে নিয়ে মাংস দিয়ে দিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে? অনেকক্ষণ জ্বাল দিয়ে মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার মাংস নেড়েচেড়ে ঝুরা করে নিতে হবে। অল্প তেলে ১ কাপ পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঝুরা মাংস দিয়ে নাড়তে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মাংস নামিয়ে নিতে হবে। এভাবেই ঝুরা মাংস রান্না হয়ে গেল। এর পর খাওয়ার আগে গরম করে পরিবেশন করতে হবে।
৬. গোশত-ভর্তা
উপকরণ: হাড় চর্বি ছাড়া গরু বা খাসির গোশত, ৪ থেকে ৫টা শুকনো মরিচ (বোটাসহ শুকনো মরিচ ভাজতে হবে), ২ থেকে ৩টি কাঁচা মরিচ বোটা ছাড়িয়ে, দুইটি পেঁয়াজ কুচি (পাতলা পাতলা পেঁয়াজ কুচি), লবণ পরিমাণ মতো, রসুন কুচি (পাতলা করে কেটে নিতে হবে) , ১ / ৪ ভাগ গরম মসলা গুঁড়ো, হাফ চা চামচ ভাজা জিরার (জিরা টেলে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে) গুঁড়ো, সরিষার তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালি: গোশত রান্না করার পরে হাড় ও চর্বি ছাড়া যে গোশতগুলো থাকে সেগুলো নিয়ে নিতে হবে। ৮ থেকে ১০ পিস গোশত কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে বা চাকু দিয়ে নরম করে নিতে হবে। এবার একটি প্যানে তেল নিয়ে ৪ থেকে ৫টি শুকনো মরিচ ( শুকনো মরিচের বোটা সঙ্গে রেখে ভাজতে হবে, বোটা ফেলে দিলে মরিচে তেল ঢুকবে তবে ভাজার পর আর মচমচে থাকবে না), আর ২ থেকে ৩টি কাঁচা মরিচ (কাঁচা মরিচের পেছন থেকে কেটে ফেলে দিতে হবে, নাহলে তেল ছিটবে) দিয়ে দিবেন।
মরিচ ভাজা হলে তুলে নিয়ে দুইটি পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে আর মরিচগুলো লবণ দিয়ে ভেঙ্গে নিতে হবে। মরিচে লবণের পরিমাণ কম দিতে হবে কারণ রান্না করা গোশত লবণ দেওয়া থাকে। পেঁয়াজও হাত দিয়ে ভালো করে চটকে নিতে হবে। পাতলা পাতলা করে রসুন কুচি করে কেটে নিতে হবে আর আদাও পাতলা করে কেটে নিতে হবে। এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ গরম মসলা।
হাফ চা চামচ টেলে নেওয়া জিরার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে? এবার কুচি করা গোশতগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে আরো দিতে হবে সরিষার তেল। তারপর গোশতর সঙ্গে এগুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবে তৈরি হয়ে যাবে গরুর গোশতর মজাদার ভর্তা। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার। এই ভর্তা দিয়ে একবারে অনেক গরম ভাত খাওয়া যায়।
৭. আচার-ই-মাংস
উপকরণ: গরু বা খাসির মাংস দুই কাপ, আদা বাটা এক চা চামচ. রসুন বাটা এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়ো এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো এক চিমটি, তেজপাতা দুইটা, পাঁচ ফোঁড়ন এক চা চামচ, সরিষা বাটা এক চা চামচ, ভিনেগার এক চা চামচ, গোটা রসুন আধা কাপ, গরম মসলা গুঁড়ো আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ পাঁচ-ছয়টা, সরিষার তেল দুই কাপ, লবণ স্বাদমত।
প্রণালি : একটি প্যানে মাংস নিয়ে তাতে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস সিদ্ধ করে নিতে হবে। এখন অন্য একটি প্যানে দুই কাপ সরিষার তেল গরম করে এতে তেজপাতা শুকনা মরিচ ও পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার সরিষা বাটা, ভিনেগার ও গোটা রসুন দিয়ে নাড়তে থাকুন দুই মিনিটের মতো। এরপর, এর মধ্যে মাংস দিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। এখন এতে গরম মসলা গুঁড়ো দিন। এভাবে নাড়তে নাড়তে যখন মাংস ভাজা ভাজা হবে ও রসুনগুলো সিদ্ধ হবে তখন নামিয়ে নিন। এবার আচার ঠান্ডা করে যে কোন কাচের পাত্রে রেখে দিতে পারেন তিন চার মাসের জন্য।
৮. খাসির গ্লাসি কারি
উপকরণ: খাসির মাংস ৭৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ, আস্ত গরম মশলা (দারচিনি, ২ টি, এলাচ ২ টি, লবঙ্গ ৩ টি, গোলমরিচ ৫ টি, তেজপাতা ১ টি)আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১/২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ১ ১/২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, নারিকেল বাটা ১ ১/২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, গরম মশলা বাটা (দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২ টি, লবঙ্গ ৩ টি, তেজপাতা ১ টি সব একসাথে বেটে নেয়া), জয়ফল গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, জয়িত্রী গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ, টালা জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবন স্বাদমত, আলুবোখারা ৫ টি, তেল+ঘি মিলিয়ে ৪ টেবিল চামচ
প্রণালি: প্রথমে পাত্রে তেল গরম হতে নিন? এরপর গরম তেলে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি এবং আস্ত গরম মশলা দিয়ে দিন। পেঁয়াজের কালার ব্রাউন হয়ে গেলে এর মধ্যে খাসির মাংস ঢেলে দিয়ে তিন চার মিনিট মাংস ভেঁজে নিন। এরপর মাংসে পরিমানমত লবন দিন। মাংস ভাঁজার এই সময় সব বাটা মশলা এবং গুঁড়া মশলা একসাথে মিশিয়ে একটা পেস্টের মত বানিয়ে নিন। এরপর ভাঁজা মাংসের মধ্যে এই মশলার পেস্টটি দিয়ে দিন। এখন সব একসাথে নেড়ে মাংস এবং মশলা একসাথে মিশিয়ে নিন।
মাংস বেশ সময় নিয়ে কষিয়ে রান্না করুন। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে গরম পানি যোগ করুন। পাত্র ঢেকে দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে সব নেড়ে দিন যাতে পাত্রের নিচে না লেগে যায়। মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হয়ে এলে আলুবোখারাগুলো দিয়ে দিন। এরপর চুলা বন্ধ করে দিয়ে মাংস চুলার উপর ঢেকে রেখে দিন পরিবেশনের আগ পর্যন্ত। রুটি, পরোটা বা পোলাওর সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
৯. আফগানি পোলাও-গোশত
উপকরণ : মাংস ১ কেজি, টমেটো ৩টি (ব্লেন্ড করা), পোলাওয়ের চাল ৩ কাপ, রসুন ৪-৫ কোয়া কুঁচি, পেঁয়াজ ৩টি (কুঁচি করা), আদা ১ চা চামচ (কুঁচি করা), ছোট এলাচ ৮টি, গোটা ধনে ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামট, লবঙ্গ ১/২ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, দারুচিনি ৩টি ছোট টুকরো, কাঁচা মরিচ ২-৩টি (কুঁচি করা), গরম পানি ৭ কাপ, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১৫-২০টি, গাজর ১/৪ কাপ জুলিয়ান কাট।
প্রণালি : প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন আদা, রসুন, গোটা গরম মসলা, পেঁয়াজ, ধনে, জিরা ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে ৭ কাপ পানিতে ৩০ মিনিট ধরে মাংস সিদ্ধ করে নিন। এবার মাংসের টুকরোগুলো আলাদা করে রেখে দিন। একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে সোনালি করে ভাজুন। এতে টমোটো কাঁচা মরিচ, লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষান।
মসলা কষানো হয়ে এলে তাতে মাংসের টুকরোগুলো যোগ করুন। এর মধ্যে আগে থেকে বানিয়ে রাখা চিকেন স্টক ভালো করে ছেঁকে ঢেলে দিন। এতে চাল মিশিয়ে ফুটতে দিন। যতক্ষণ না চাল সমস্ত স্টক শুষে নিয়ে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে কিশমিশ ছড়িয়ে আরও ২-৩ মিনিট হালকা আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। অল্প ঘিয়ে গাজর ভেজে নিন নরম হওয়া পর্যন্ত। পোলাওয়ের উপর ছড়িয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল আফগানি পোলাও।
১০. বিফ স্টেক
উপকরণ: বিফ স্টেক- ২ পিস (২ কেজি/ ৯০০ গ্রাম), রসুন বাটা- ১.৫ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা- ২ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল- ২ টেবিল চামচ, ভিনেগার- ২ টেবিল চামচ, সয়া সস- ৩ টেবিল চামচ, লবণ- ১/৪ চা চামচ, মধু- ১ চা চামচ, তেঁতুল- ২ টেবিল চামচ, লালমরিচ গুঁড়ো- ১.৫ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১.৫ চা চামচ।
প্রণালি : একটি বোলে রসুন বাটা, ভিনেগার, সয়া সস, অলিভ অয়েল, সরিষা বাটা, লালমরিচ গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, মধু ও লবণ একসাথে ভালো করে মেশাতে হবে। এবার তাতে তেঁতুল ঢেলে দিতে হবে? আবার ঠিক মতো মিশিয়ে নিয়ে মিক্সচারটি একটি জীপলকড ব্যাগে ঢেলে দিতে হবে। তার মধ্যে বিফ স্টেকের টুকরো দুটি দিয়ে লক আটকে ভালোভাবে নেড়ে মাংসের গায়ে মিক্সচারটি লাগিয়ে নিতে হবে। এবারে ব্যাগটি ফ্রিজে ৮-১২ ঘণ্টা মেরিনেট হতে রেখে দিতে হবে। এখন একটি গ্রিল প্যানে কুকিং স্প্রে দিয়ে তার উপর স্টেক দিয়ে দিতে হবে। দুই পাশ ঠিক মতো উল্টে পাল্টে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে বিফের দুই পাশই রান্না হয়। হয়ে গেলে স্টেক।
গরুর মাংস রান্নার রেসিপি?
গরুর সেই একই রকম মাংস ভুনা আর কতদিন খেতে ভালো লাগে কোরবানির ঈদে তাই গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন নতুন কোনো আইটেম। ঈদের দিন সবাই খাবার টেবিলে চায় নতুন নতুন ও ভিন্ন স্বাদের সব খাবার আইটেম। এই কোরবানির ঈদে আপনি তৈরি করতে পারবেন গরুর মাংসের নতুন ৮টি পদ।
গার্লিক বিফ: যারা গরুর মাংস ঝাল করে খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য গার্লিক বিফের তুলনা হয় না। ঈদের দিন ঘরেই পাবেন রেস্তোরার গার্লিক বিফের মজাদার স্বাদ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ : গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ ও মরিচ গুঁড়া ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ, রসুনের কোয়া ৪/৫টি, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট সামান্য, তেল আধা কাপ, মাংসের মসলা আধা চা চামচ, টমেটো সস আধা কাপ, টক দই ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো।
ঈদ স্পেশিয়াল ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্নার রেসিপি: সহজ ও সুস্বাদু উপায়?
গরুর মাংস বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় খাবার? বিশেষ করে বড় কোনো অনুষ্ঠান, ওয়ালিমা বা মিলাদ মাহফিলে গরুর মাংসের বড় আয়োজন করা হয়। কিন্তু ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্না করা চাট্টিখানি কথা নয়! সঠিক উপকরণ, পরিমাণ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্নার একটি পারফেক্ট রেসিপি যা সহজে অনুসরণ করা যায় এবং স্বাদেও হবে অতুলনীয়।
প্রধান উপকরণ:
- গরুর মাংস – ৩০ কেজি (বড় টুকরো করে কাটা)
- পেঁয়াজ – ১০ কেজি (স্লাইস করে কাটা)
- রসুন বাটা – ১.৫ কেজি
- আদা বাটা – ১.৫ কেজি
- দই – ৩ কেজি
- টমেটো – ২ কেজি (স্লাইস করা)
- কাঁচা মরিচ – ১ কেজি (আস্ত)
- গুঁড়ো মসলা:
- ধনে গুঁড়ো – ৫০০ গ্রাম
- জিরা গুঁড়ো – ৫০০ গ্রাম
- গরম মসলা গুঁড়ো – ২৫০ গ্রাম
- শুকনা মরিচ গুঁড়ো – ৭৫০ গ্রাম
- হলুদ গুঁড়ো – ২৫০ গ্রাম
- ধনিয়া পাতা – ১ কেজি (কুচি করা)
- লবণ – পরিমাণমতো
- গোটা মসলা:
- দারুচিনি – ১০০ গ্রাম
- এলাচ – ৫০ গ্রাম
- লবঙ্গ – ৫০ গ্রাম
- তেজপাতা – ২০টি
- রান্নার জন্য:
- সরিষার তেল – ৫ লিটার
- ঘি – ১ লিটার
- পানি – পরিমাণমতো
পোস্ট ট্যাগ?
কোরবানির ঈদে বেশিরভাগ মানুষই গরুর মাংস খাবেন বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়ার কারণে বদহজম থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই। তাই বলে কী গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ রাখবেন? মোটেই না। বরং জেনে নিন গরুর মাংস রান্নার কিছু স্বাস্থ্যকর উপায়। এতে আপনার মাংস খাওয়া বেশি হলেও ক্ষতি হবে কম। গরু, খাসি এমন সব ধরণের রেড মিট রান্নার ক্ষেত্রেই এসব টিপস আপনার কাজে আসতে পারে।
লেখকের মন্তব্য?
গরুর মাংস দিয়ে বানানো সেরা ১০টি ঈদের রেসিপি নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিশেষ করে যারা ভুজন প্রমিক বা খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকের এই রেসিপি গুলো অনেক কাজে আসতে পারে। কারণ এই রেসিপি গুলো বাড়িতে বানানোর জন্য দামি কোনো মসলা বা উপকরণ না লাগার কারণে আপনার ঘরে থাকা মসলা ও উপরকন দিয়েই রেসিপি গুলো খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন। যারা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ তাদের জন্য বিশেষ ভাবে গরুর মাংসের অন্যরকম রেসিপি তুলে ধরা হয়েছে। আশা করা যায় যে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা এই রেসিপি একবার হলেও ট্রাই করবেন কারণ এতে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই মসলা ও উপকরণ দিয়ে এই রেসিপি গুলো দেওয়া হয়েছে।
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহু সর্বশক্তিমান
রবিউল নেটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url