যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় A টু Z?
কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয়, তা জানতে আপনার আগ্রহ থাকলে এই লেখাটি আপনার জন্যই। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ, যদি আপনি সঠিক তথ্য জানেন। প্রথমেই আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
এই পোস্টে আপনি কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, এবং প্রক্রিয়ার সময়কাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। পোস্টটি পুরোটা পড়ুন এবং সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয়?
গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক, তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, যা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হবে। এই পোস্টে আপনি জানবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির পদ্ধতি এবং এটি পেতে হলে কী কী কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া?
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হলে প্রথমেই আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় তা জানুন।
প্রথমে, আপনার স্থানীয় বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) অফিসে যান বা অনলাইনে আবেদন করুন। দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট ফর্মটি পূরণ করুন, যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তৃতীয়ত, ফর্মটি পূরণ করার পর, আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিন।
এছাড়াও, ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, যা পরবর্তী ধাপে আলোচনা করা হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করবেন কীভাবে তার ধাপসমূহ?
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া বেশ কিছু ধাপে বিভক্ত সঠিকভাবে সকল ধাপ অনুসরণ করলে আপনি সহজেই লাইসেন্স পেতে সক্ষম হবেন।
নিচে প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো?
১. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ
- প্রথমে, আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত করতে হবে।
- সাধারণত এই ডকুমেন্টসগুলো হলো
- প্রমাণিত পরিচয়পত্র (যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট)
- ঠিকানার প্রমাণ(যেমন বিদ্যুৎ বিল, ভাড়া চুক্তি)
- ফটোগ্রাফ (নির্ধারিত সাইজের)
- ২. আবেদন ফর্ম পূরণ- ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। এই ফর্মটি পূরণ করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে। কিছু স্থানে অনলাইনে আবেদনও করা যায়।
- ৩. প্রাথমিক ড্রাইভিং পরীক্ষা- আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার পর, আপনাকে একটি প্রাথমিক ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা ও জানাশোনা যাচাই করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, তত্ত্বীয় পরীক্ষাও থাকতে পারে যেখানে রাস্তার নিয়মাবলী ও নিরাপত্তা বিধির উপর প্রশ্ন করা হয়।
- ৪. মেডিকেল পরীক্ষা- ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একটি মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এই পরীক্ষায় আপনার চোখের দৃষ্টি ও সাধারণ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল সঠিক হলে তা আপনার লাইসেন্স আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
৫. ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
যদি প্রাথমিক পরীক্ষা এবং মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে পরবর্তী ধাপে ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় আপনার গাড়ি চালানোর দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ যাচাই করা হয়। পরীক্ষায় সফল হলে, আপনি লাইসেন্সের জন্য যোগ্য হবেন।
- ৬. লাইসেন্স সংগ্রহ- সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আপনার আবেদন প্রসেসিং করা হবে, কিছু সময়ের মধ্যে, আপনি আপনার লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই ধাপগুলির মাধ্যমে আপনি সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে। লাইসেন্সের জন্য আপনার আবেদন সফল হবে এবং আপনাকে নিরাপদভাবে গাড়ি চালানোর সুযোগ প্রদান করবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় তা জানুন।
প্রথমে, আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি কপি জমা দিতে হবে দ্বিতীয়ত, আপনার জন্মসনদের একটি কপি জমা দিতে হবে। যা আপনার বয়স নিশ্চিত করবে তৃতীয়ত আপনার ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিলের একটি কপি দিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর, আবেদনটি পর্যালোচনা করা হবে এবং পরবর্তী ধাপ হিসেবে আপনাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য পাঠানো হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফি এবং পেমেন্ট পদ্ধতি?
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির আবেদন করতে হলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় তা জানুন। প্রথমে, এই ফি নির্ধারিত হয় আপনার লাইসেন্সের ধরণের উপর ভিত্তি করে।
দ্বিতীয়ত, আবেদন ফি পরিশোধের জন্য সাধারণত ব্যাংক ড্রাফট বা মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
তৃতীয়ত অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
আবেদন ফি প্রদান করার পর, আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে এবং আপনি মেডিকেল টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফি এবং পেমেন্ট পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল টেস্ট?
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবেথমে, আপনার শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য একটি মেডিকেল টেস্ট করা হবে।
দ্বিতীয়ত, এই টেস্টের মাধ্যমে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি এবং সামগ্রিক শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করা হবে। তৃতীয়ত, যদি আপনি টেস্টে উত্তীর্ণ হন, তবে আপনার লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল টেস্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনি লাইসেন্স পেতে আরেকটি ধাপ এগিয়ে যাবেন।
ড্রাইভিং পরীক্ষার ধাপ এবং প্রস্তুতি?
ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে গেলে আপনাকে প্রথমে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে প্রথমেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখে ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর আপনাকে নির্ধারিত পরীক্ষার দিনে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।
ড্রাইভিং পরীক্ষায় সাধারণত দুটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপ হলো লিখিত পরীক্ষা এতে আপনাকে ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপ হলো প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা এখানে আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা পরীক্ষা করা হবে।
ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিখিত পরীক্ষার জন্য আপনাকে ট্রাফিক নিয়মগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। বই বা অনলাইনের সাহায্যে ট্রাফিক সাইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে পারেন। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়মিত গাড়ি চালানোর অভ্যাস করতে হবে, বিশেষ করে পার্কিং, লেন পরিবর্তন এবং ইউ-টার্নের মতো বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে।
ড্রাইভিং পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি পরীক্ষার দিন সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছান। পরীক্ষার সময় আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন মনে রাখবেন, ড্রাইভিং দক্ষতা শুধুমাত্র ,পরীক্ষার জন্য নয় আপনার এবং অন্যদের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং তার মেয়াদ?
প্রাথমিক ড্রাইভিং লাইসেন্স হল ড্রাইভিংয়ের প্রাথমিক অনুমতি এটি পেতে হলে আপনাকে প্রথমে নির্দিষ্ট বয়সসীমা পূরণ করতে হবে। সাধারণত ১৮ বছর এরপর সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করার পর আপনাকে একটি লিখিত এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনি একটি প্রাথমিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।
এই প্রাথমিক লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হতে পারে যা দেশের নিয়ম অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এই সময়কালে আপনি অভিজ্ঞতার জন্য গাড়ি চালাতে পারবেন তবে একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভারকে সঙ্গে রাখতে হবে। প্রাথমিক লাইসেন্স দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়।
এই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত নিয়ম মেনে ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত। এতে পরবর্তী ধাপে, অর্থাৎ স্থায়ী লাইসেন্স পাওয়ার পথে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।
স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শর্তাবলী?
স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে প্রথমত, আপনাকে অবশ্যই প্রাথমিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারী হতে হবে। এবং এটি পূর্ণ মেয়াদে ব্যবহার করতে হবে স্থায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে নির্দিষ্ট সময়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি, আপনার ড্রাইভিং পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে হবে।
স্থায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় আপনার পূর্বের ড্রাইভিং রেকর্ডও বিবেচনা করা হয় যদি প্রাথমিক লাইসেন্সের মেয়াদে। কোনো গুরুতর ট্রাফিক আইন ভঙ্গের ঘটনা ঘটে, তবে স্থায়ী লাইসেন্স পেতে সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত গাড়ি চালানোর পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পর, নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আপনি আপনার স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাবেন। এই লাইসেন্সটি আপনার আজীবন ড্রাইভিং করার অনুমতি দেবে, তবে এটি নির্দিষ্ট সময় পর নবায়ন করতে হবে। স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে গেলে আপনি স্বাধীনভাবে গাড়ি চালাতে পারবেন এবং এটি আপনাকে একজন দক্ষ ড্রাইভার হিসেবে চিহ্নিত করবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের নিয়ম?
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে, এটি নবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি নবায়ন না করা হলে, আপনি গাড়ি চালানোর বৈধতা হারাতে পারেন। এবং আইনগত জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন লাইসেন্স নবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে হবে।
সাধারণত, লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নবায়নের আবেদন করা উচিত, যাতে কোনো ঝামেলা না হয়, কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় তা জানুন।
লাইসেন্স নবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে নবায়ন আবেদন করার পর, আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা এবং শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হতে পারে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আপনার লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
লাইসেন্স নবায়নের সময় মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং নতুন মেয়াদের লাইসেন্স আপনাকে প্রদান করা হয়। নবায়িত লাইসেন্সের মাধ্যমে আপনি পুনরায় বৈধভাবে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাবেন। লাইসেন্স নবায়নের প্রক্রিয়া সাধারণত সহজ হলেও। এর জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং কাগজপত্রের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয়?
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি প্রথমেই, আপনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এবং লাইসেন্স হারানোর বিষয়ে রিপোর্ট করুন কর্তৃপক্ষকে পুরো ঘটনা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে, নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে, সাধারণত পূর্বের লাইসেন্সের তথ্য এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হয়। সেই সঙ্গে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) রিপোর্ট জমা দিতে হতে পারে, যা প্রমাণ করবে যে আপনার লাইসেন্স সত্যিই হারিয়ে গেছে।
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, নতুন লাইসেন্স তৈরি করতে কিছু সময় লাগতে পারে তবে এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়। কর্তৃপক্ষ থেকে অস্থায়ী একটি লাইসেন্স পেতে পারেন যা দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন। নতুন লাইসেন্স পাওয়ার পর, আগের হারানো লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে এবং নতুন লাইসেন্সই বৈধ বলে গণ্য হবে।
লাইসেন্স হারানোর ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সেজন্য আপনার লাইসেন্সটি সবসময় নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এর কপি করে রাখাও একটি ভালো ব্যবস্থা হতে পারে, যাতে প্রয়োজনের সময় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্ট্যাটাস চেক করার উপায়?
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করা অত্যন্ত সহজ প্রথমে, আপনাকে রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইটে যেতে হবে। যেখানে আপনার লাইসেন্সের বিস্তারিত তথ্য আপলোড করা থাকে সেখানে আপনার লাইসেন্স নম্বর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।
এরপর, আপনার লাইসেন্সের বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন কিছু ওয়েবসাইটে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে। যেখানে শুধু আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও ব্যবহার করতে পারেন সঠিক তথ্য ইনপুট করার পরে। লাইসেন্সের স্ট্যাটাস সম্পর্কে বিস্তারিত আপডেট পাবেন এভাবে আপনি যে কোনো সময়ে, আপনার লাইসেন্সের অবস্থা পরীক্ষা করতে পারবেন।
লাইসেন্স তৈরি হওয়ার সময়কাল?
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হওয়ার সময়কাল বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে সাধারণত, লাইসেন্স আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকে এটি তৈরি হতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে।
প্রথমে, আবেদন জমা দেয়ার পরে একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া থাকে, যার মাধ্যমে আবেদনটি পর্যালোচনা করা হয়। এরপর, পরীক্ষার দিন নির্ধারিত হয় এবং সফলভাবে পরীক্ষা পাশ করার পর, লাইসেন্স প্রস্তুত করা হয়। তবে, যদি কোনো অতিরিক্ত ডকুমেন্ট বা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে এটি কিছুটা সময় নিতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে, আপনি দ্রুত আপনার লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং তাদের ব্যবহার?
ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালানোর অনুমতি দেয়। সাধারণত, এই ক্যাটাগরিগুলি হলো: ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য 'মি’ ক্যাটাগরি, বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য 'সি’ ক্যাটাগরি, এবং ভারী যানবাহনের জন্য 'ডি’ ক্যাটাগরি।
প্রতিটি ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট ধরনের যানবাহন চালানোর জন্য অনুমতি প্রদান করে 'মি’ ক্যাটাগরি সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। 'সি’ ক্যাটাগরি ট্রাক এবং বড় গাড়ির জন্য, এবং 'ডি’ ক্যাটাগরি ভারী ট্রাক ও বাস চালানোর জন্য। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা প্রয়োজন হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে সহযোগিতামূলক সংস্থার ভূমিকা?
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদের মধ্যে। লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো প্রশিক্ষণ দেয়, এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি সুনিশ্চিত করে, যা লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয়।
লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থাগুলি আবেদন গ্রহণ করে, পরীক্ষা পরিচালনা করে এবং লাইসেন্স ইস্যু করে। এছাড়া, কিছু সংস্থা ডকুমেন্ট যাচাই, তথ্য সংরক্ষণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। এভাবে, আপনার লাইসেন্স তৈরি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে সাহায্য করে।
পরিশেষে আমার মতামত?
কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় তা সম্পর্কে জানলাম ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যা আপনাকে স্বাধীনভাবে গাড়ি চালানোর সুযোগ দেয় অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক, লাইসেন্স তৈরির সময়কাল। বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও সহযোগিতামূলক সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
এসব বিষয় জানা থাকলে, আপনি লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন। আমি মনে করি, সঠিক তথ্য জানা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া আপনার লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজ করে তুলবে। সবার জন্য এই তথ্যগুলো সাহায্যকারী প্রমাণিত হবে বলেই আশা করছি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স?
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ।
- অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।
- মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া?
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা আপনার ড্রাইভিংয়ের বৈধতা নিশ্চিত করে। কিন্তু কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হয় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া সবসময় সহজ হয় না। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়, যার মধ্যে আছে আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা।
ড্রাইভিং লাইসেন্স?
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ।
- অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।
- মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া?
গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত। মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক। তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন অনলাইনে আবেদন।২। আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)]
৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন ]
৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে।
৬। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৭। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
- ২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- ৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।
- ৪। নির্ধারিত ফী বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
- ৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
- ৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি?
(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে, (২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে। (৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া?
(ক) অপেশাদারঃ
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ৪,২১২/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে, প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
(খ) পেশাদারঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২,৪৮৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া?
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- ১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
- ২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
- ৩। নির্ধারিত ফী বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
- ৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লেখকের মন্তব্য?
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই Comments করে জানিয়ে দিবেন,সবাইকে ধন্যবাদ আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি রবিউল ইসলাম আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ সর্বশক্তিমান
রবিউল নেটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url